সঠিক পরিমাণে পানি পান করা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীরের অনেক উপকার হয়। আবার অতিরিক্ত পানি পানে দেখা দিতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা।
কার কতটা পানি পান দরকার।
বলা হয়,দিনে ৮ গ্লাস পানি সবার জন্য যথেষ্ট। এটা সামগ্রীক ভাবে বলা হয় একটা ধারনা দেবার জন।
যে চার্ট টি নীচে দেওয়া হল সেটা একটা সামগ্রীক ধারনা দেবার জন্য কিন্তু পানি পানের ক্ষেত্রে বয়স, লিঙ্গ, জীবনধারা আবহাওয়াও এমনকি কিছু অসুস্থতার জন্য বিবেচনা গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায়।
| ৪ থেকে ৮ বছড় | ১’২ লিটার | ৫ কাপ |
| ৯ থেকে ১৩ বছড় | ১’৬ – ১’৯ লিটার | ৭ -৯ কাপ |
| ১৪ থেকে ১৮ বছড় | ১.৯-২.৬ লিটার | ৮-১১ কাপ |
| পুরুষঃ ১৯+ বছর | ৩ লিটার | ১৩ কাপ |
| নারীঃ ১৯+ বছর | ২’১ লিটার | ৯ কাপ |
|
| ২’৪ লিটার | ১০ কাপ |
|
| একই পরিমান | একই পরিমান |
|
| ৩ লিটার | ১৩ কাপ |
পর্যাপ্ত পানি পান করে সারা দিন হাইড্রেটেড থাকলে শরীরের অনেকস্বাস্থ্যেগত উপকার হয়। পরিমিত পরিমাণে পানি পান করা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজম ভালো হয়, শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং ত্বক ভালো থাকে। |
পানি খাবার আরেকটি হিসাব রয়েছে,এটাও মেনে চলতে পারেন। আপনার ওজনের ওপরই মূলত নির্ভর করবে কতটা পানি খেতে হবে। অর্থাৎ যদি আপনার ওজন ৪৫ কেজি হয়, তাহলে যতটুকু পানি খাওয়া প্রয়োজন, ওজন ৯০ কেজি হলে পাল্টে যাবে সেই পরিমাণ। নিজের ওজনকে ২ দিয়ে ভাগ করে পানি খাওয়ার পরিমাণ বের করুন। যেমন আপনার ওজন যদি ১৭০ পাউন্ড (৭৭ কিলোগ্রাম) হয়, তাহলে আপনাকে ১৭০/২=৮৫ আউন্স (২.৫ লিটার) পানি খেতে হবে প্রতিদিন। এগুলি হচ্ছে সামগ্রীক হিসাব। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে বদলে যাবে এই হিসাব গুলি যেমন-
কিছু নিয়মিত অভ্যাস আয়ত্তে আনলে পানি খাওয়া বিষয় জটিলতা এড়ানো যাবে।
ও ভিটামিন পাবে শরীর।
বেশি পানি পান করলে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, যেমন হজমের সমস্যা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, এবং শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা। বেশি পানি পানের কারণে যে সমস্যাগুলো হতে পারে:
পানি বেশী বেশী খেলেও মারাত্মক শারিরীক সমস্যা দেখা যায়,শরীরে এই হঠাৎ এই পানীর প্রবাহ রক্তে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে রক্তে ‘ইলেক্ট্রোলাইট’ নামে পরিচিত খনিজ পদার্থের ঘনত্ব কমেযায়, এর মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। এটাকে তখন বলা হয়, ইলেক্ট্রোলাইটিক ইমব্যালেন্স। এদিকেশরীরের কোষের ভেতরে খনিজ পদার্থের ঘনত্বের কম হয়ে যায়, এবং তাই ঘনত্বের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পানিশরীর থেকে কোষে প্রবেশ করা শুরু করে এবং তখন কোষগুলি ফুলে যায়। মস্তিষ্কে্র কোষ গুলির এই ফোলা“সেরিব্রাল এডিমা”- বিশেষভাবে বিপজ্জনক কারণ মস্তিষ্ক মাথার খুলির মধ্যে আবদ্ধ থাকে এবং এটি প্রসারিত হতে পারে না। তাই কোষের বর্ধিত চাপ মস্তিষ্কের ক্ষতি এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে।